Sunday, February 17, 2019

দেবাশিস দাশ







কনকদাসের পথ


চোখের তারায় বালাজি-প্রতিচ্ছবি
ওই চলেছেন কর্ণাটকের কবি।

জঙ্গল ভেঙে, পাহাড় পেরিয়ে তিনি
গেয়ে চলেছেন 'মোহন-তরঙ্গিনী'।

ঠোঁটে কীর্তন, একনাড়া ঝোলে গলায়:
"আমি ভেসে গেলে সার্থক হবে চলা"... 

আলো-হাওয়া-জল যোজন-যোজন ঘাস
উইকিপিডিয়া খুঁড়ে তোলে বিশ্বাস। 

গান উড়ে যায় দক্ষিণী গিরিবাগে
মন কি এখনও উদাসীন বানজারা? 
তাদের জন্য— পেছনে হাঁটছে যারা—
পথের দিশারী! আর যারা গেছে আগে
তাদেরই চলার অনুগামী, আজনবি
ওই হেঁটে যান কন্নড়ভাষী কবি। 

নারকেলক্ষেত, তুঙ্গভদ্রাডাঙা
জানে— ঈশ্বর সাদা-কালো মাছরাঙা।


আকাঙ্ক্ষা একা

আকাঙ্ক্ষা একা তুফান-টানেলে ঢোকে
জন্ম-জন্ম বহুদূর ট্রেনে চ'ড়ে
মায়ানদী-চর পাহাড়-অরণ্যকে
দিগন্তে ঠেলে উজান আঁকড়ে ধরে।

কখনও ছা-পোষা উটের মতো সে উঁচু—
বিষণ্ণ পায়ে মাইল-মাইল হেঁটে
মনোরঞ্জনে যুক্ত হয় সি-বিচে, 
ডিজিটাল দিন খায় তাকে চেটে-চেটে। 

কখনও হঠাৎ সন্ধ্যাতারার মতো
ভালবাসা দেয় মৃত হিম হাতছানি,
আমাদের বুকে যখন শুকায় ক্ষত,
নীরবতাকেই ঈশ্বর বলে মানি।


নাগ-বুদ্ধের মূর্তি

আঠারো মোকাম জয় করে তুমি
মৃত্যুঞ্জয়ী বুদ্ধ,
আশীর্বাদিকা মুদ্রার মতো
তোমার মাথার ঊর্ধ্বে
বাসুকী বিশাল ফণা মেলে আছে
তুমি অনন্তদ্রষ্টা।
আধিভৌতিক স্বপ্নের ঘোরে
তোমাকেই করি মূর্ত,
সব নদীপথ লীন হয়ে যায়
অববাহিকার গর্ভে।


No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"একটা কথা আমি বলি। আমরা অনেকগুলো জিনিস খবরের কাগজে দেখি। সারফেসে দেখি, তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যাই। আমাদের আর কিন্তু প্রভাব...