Saturday, February 16, 2019

অরিজিৎ চক্রবর্তী







অভয়মুদ্রা' 

ভালোবেসেছি কি বাসিনি সে কথা ভাবার অবকাশ হবে না কোনদিন। কারণ ফ্রয়েড এখনো একটা চিরুনির অবসন্ন শরীরে যৌনতা চিহ্নিত করছেন।কারণ আমার পূর্বরাগ শিমূলতলার লাট্টু পাহাড়ে পূর্ণ উন্মাদ হয়েছিল। তাই ভালোবাসা নিয়ে আলাদা কিছু ভাবিনা এখন।শুধু তুমি কতটা দুর্লঙ্ঘ্য ক্ষত, রাতের আকাশে ভেসে যাওয়া চাঁদ ও সোহাগের সেকথা বলার অবকাশে হয়েছি অপেক্ষমাণ...
( ২ )
কবিতার অভিশাপ আমাকে যতটা আচ্ছন্ন করেছে তাকে চুম্বনের সাথে তুলনা করা ছাড়া উপায় ছিল না। বিচলিত বসন্তের রোমন্থন গর্ভদন্ডের মধ্য দিয়ে পলাশের ডিম্বকে হাওয়া তোলে। মনখারাপের ময়ূর আমাদের বংশগতি এবং সাধারণ জিনগত অভ্যাসে তোমাকে ভালোবাসে প্রস্তুতির!
( ৩ )
সঙ্গমের ভিতরে তুমি যতটা বিভ্রান্ত হয়েছিলে আমিও ততটাই তোমাকে হত্যা করেছি। এই সত্য মিথ্যে করার অজুহাতই দাম্পত্য!  ভুলে যাওয়া অভ্যাসের মতো মরচে ধরা বারান্দার রেলিংয়ে মগ্ন স্মৃতির উজ্জ্বল উদ্ধার বসে থাকে। আমাদের নির্বিকারত্বে অগ্নিকোণে শাঁখ বাজায় কেউ!


( ৪ )
প্রবল আকাঙ্ক্ষায় আমি একদিন কবিতা লিখলাম। একদিন জীবনের থেকে পলায়নপর হলাম। ভাবলাম জঙ্গল ভালো। ভাবলাম মাটি ভালো। এখন ভরাট জীবনে একলা বাড়িটির মতো ভাবি যদি দেখা হতো। যদি সর্ষে ক্ষেতের হলুদ অমরতায় ছুটে যাওয়া যেত? ঈর্ষার নির্জনে উড়ে বেড়াত কি চাঁদ! আমাদের একলা বাড়িটির সবকটি ঘরে তুমি কি গুনতে প্রমাদ?

( ৫ )
তুমি কি এখনো
দাঁড়িয়ে দেখবে?

আমার নক্ত কষ্টের
অচেনা অর্জুন!

হে জীবন নুন দাও নুন

( ৬ )
আমার রঙিন পানপাত্রে
একবার ঠোঁট রেখো তুমি।

পৃথিবীর পথে
উপ-পৃথিবীর মতো!

একটু কি ছুঁয়ে দেখবে না?
শৈবালমথিতপ্রাণ শিশ্নপ্ররোচনা

( ৭ )
অমরত্ব আমাকে অসহায় বলেছে। আমি সেই শোকে বাংলা কবিতার থেকে দূরে কোনো এক শালের জঙ্গলে লাল মাটির প্রত্যাদেশ মেখেছি। মহুয়ার গন্ধ মাতাল উলঙ্গ মানুষের খোঁজে টুইলা বাজায়। লোভী চাঁদ চাঁদমারির প্রান্তরে হত্যা সাধনার জবাফুল ছড়িয়ে রিক্তের আরাধনা করে।
আমি পৃথিবীর উপরে ফেলে আসা জন্ম খুঁজে পিতৃত্ব লাভ করি।


 

No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"একটা কথা আমি বলি। আমরা অনেকগুলো জিনিস খবরের কাগজে দেখি। সারফেসে দেখি, তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যাই। আমাদের আর কিন্তু প্রভাব...