সন্ধ্যাতারা
প্রতি পাতায় লেগে থাকে সৎকার
বাতাসে ওড়ে ছড়ানো খই
ক্লান্ত ভূমির ঠোঁটে লেগে আছে পোড়া দাগ।
পিছু টান ভেবে যদি ঘুরে দাঁড়াও-
ধোঁয়া সর্বত্র।
শয্যাগুলো চিনে রাখো
চিনে রেখো কীটপতঙ্গদের,
দেখো বিশ্বাসঘাতক চাঁদ কেমন ঝুলে আছে বাঁশ বনে!
যে চারা শিকড়ের টানে পাতাল চিনেছে
বৃষ্টি তার জন্য নয়,
যার বুকে দহন নেই সে পাথর জানে না
যে ভোরে শিউলি মাড়িয়েছে সে চেনে না মোহনা
যে মাপে রক্তের গাঢ়তা সূর্যমুখীর ঘূর্ণন তার চোখে পড়ে না
যে শান দিচ্ছে অস্ত্রে সে জানে না বাতাসের ধার। তুমি যদি ভাবো থেমে যাবে
আকাশ তোমার জন্য নয়;
বলি, ছুটে যাও পুবদিকে
ভোরে খুলে রেখো খাতা
সারাদিন পর জমানো আলোয়
শুধু ডুবে যাও ডুবতেই থাকো যাতে-
কবিতা তোমার ফুটে ওঠে
প্রতিদিন
সন্ধ্যাতারায়।
পাখি
আমাকে কেউ ঘোরাতে নিয়ে যেত পাহাড় নদী গ্রাম
আমাকে কেউ উড়িয়ে দিত আকাশে ,
আমাকে শহর দেখিয়েছে সেই।
সামনে জল ধরে বলেছে তেষ্টা মেটাও
খাবার দিয়ে মাথায় বাতাস করেছে দীর্ঘ দিন,
সন্ধ্যায় পাশে বসে আঁচল বাড়িয়ে দিয়েছে
রাতে নিজেকে সঁপে নিশির ডাক থেকে বাঁচিয়েছে আমাকে সেই....
শুধু যেদিন তার ডানার
পালক হতে চেয়েছিলাম
চৌকাঠে সেদিন মৃত পাখির মুখ আমি দেখেছি।
No comments:
Post a Comment