সম্পর্ক
কুলঙ্গির ’পরে গোপাল ঠাকুরের ছোট মূর্তি। নিষ্পাপ মুখে গোপাল ঠাকুর হাসছেন। একদিন কুলঙ্গি পরিষ্কার করতে গিয়ে অনবধানতাবশত মূর্তি পড়ে যায়। ভারি পাথরের মূর্তি দু’ভাগ হয়ে যায়। তারপরেও দুটি অংশ একত্রিত করে রাখা হয় একই জায়গায়। না-জানলে বোঝা যায় না মূর্তি ভেঙ্গে গেছে। মূর্তি অবিকল আগের মতই। শুধু একজন আড়াল থেকে সব দেখেছে। সে হাঁপায়। যার হাতে লেগে মূর্তি ভেঙ্গে যায়, সেও বোঝে আড়ালের চোখ। সরাসরি তাকায়। দেখে। শ্বাস বড় হয়। কিন্তু মূর্তি বিষয়ে কোনও কথা হয় না। মূর্তি একইরকম থাকে । শুধু মূর্তির হাসিটা যেন একটু বদলে যায়, অচেনা লাগে।
মূর্তি দু’ভাগ হয়ে গেছে, এই দু’জন ছাড়া বাড়ির অন্য কেউ জানে না। কুলঙ্গির ঘরে ভাঙ্গা স্পাইনাল কর্ড সহ মূর্তি শুয়ে বসে থাকে আগের মতই। মূর্তির চিকিৎসা নেই কোনো। ভাঙ্গা ভার্টিব্রা, ভাঙ্গা সার্ভিক্যাল নিয়ে চুপচাপ থাকে মূর্তি। শুধু প্রতিদিন রাতের বেলায় এই চিড়, এই ফাটল আরও বেড়ে ওঠে। বাড়তে বাড়তে একটা বিশাল খাদ তৈরি হয়। একটা হেয়ার লাইন ফ্রাকচার বিশাল একটা হা হয়ে গিলতে আসে একজনকে, অথবা দুজনকেই।
No comments:
Post a Comment