শিরোনামহীন
কবিতাগুচ্ছ
(১)
সান্নিপাতিক
হয়েছে,
মাথায় শামুক রেখে তাই মাটির ঢেলা
ভাঙছি।
অাঙুলের
কাছে চুনদাগ অার বাসকগাছ খুঁজে পাচ্ছি নে কিছুতেই।
ভাতারখাগী
অালেয়া বউ,রাজহাঁসের ডিম অার নোয়াপাড়া হাসপাতাল শুধু চোখে পড়ছে।
এইবার
মিলছে উষ্ণকুন্ড;
তাই
বন্ধুর
বেতো বউয়ের পেটে উঠে বসছি।
(২)
না ফদিয়ে
গাঁজাখেতে মধু ছিটিয়ে দে,
ঠ্যাঙ
ছিঁড়ে দে অামার।
চোখের
ভিতরে শরকাঠি,নিভু নিভু ঘুম পাখির মরণ।
ধনেপাতা
বনে গুঁড়িমারা চাঁদ,এই তো সময়।
তোর মরদ
এলো,
পক্ষিণীহীন
থাকতে পারছি নে,খাঁচা খুলে এবার অনন্ত অামায় জবাই কর।
(৩)
আকাশ থেকে
প্রেমে নেমে এলো
ওলো ওর পা
ধুইয়ে দে।
গামছায় দই
বেঁধে দে,বসতে দে রে ইজিচেয়ারে।
ময়ূরমাংস
ইলিশডিম লালচাও চলতে পারে।
চঞ্চল
প্রেমের পায়ে দড়ি অাটকে দে।
এক্করে
পথবাতির তলায় পকেটমার
এবার
সজিনার গাছে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে দোল দে
দে দোল,দে
দোল
(৪)
চন্দ্রবোড়া
পিটিয়ে মারলে পাখি হয়ে যায়
এ পরীক্ষা
করতে যেতেই নাতিকে খেল
ফনীমনসার
ঝোপ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র,মায়ের থান
বেধবা
বৌটিকে দ্বিতীয় বিবাহ দেবে না,অাটকে রাখছ গর্ভগৃহের ভিতর
তুমি ঝানু
অার পাকা শ্বশুর
খুঁজে
চলেছ হেঁতাললাঠি এবং বুড়ো ডাক্তারের কাছে হাঁড়ি ভর্তি অভিজ্ঞান।
৫)
খুচরো
গুনে পাবলিক পেচ্ছাবখানায় বসে ছিলেম যে এতদিন,
তারপর
তোমার দেখে পেলেম এই ভরা চোতমাসে।
গায়ে
অগরুগন্ধে,বুকে পদচ্ছাপ।
তুমি
তলপেটের নীচ থেকে চেন টেনে নামাতেই আধফুটন্ত ডাঁসা পদ্মফুল দেখলেম...
No comments:
Post a Comment