নতুন কবিতা
১
যে ঝড় তোকে ছিঁড়ে খাচ্ছে
রক্তমাখা দাঁত বসাচ্ছে
মৃদু রাস্তা হারাচ্ছে বারবার
মুচড়ে উঠছে, চেষ্টা করছে
আমায় ছুঁয়ে যাওয়ার
হাতের পাতায় -- ডিঙিনৌকোয় --
সে রক্ত সে গরল আমি
ধরে রাখছি আজ
.
এটা আমার কাজ
.
আর তাছাড়া শূন্যতা নির্মাণ
নৌকো নিয়ে এই তরঙ্গে
ক্ষইতে থাকা, বইতে থাকা
অন্ধ অভিমান...
আমার শুধু কেঁপে ওঠা
ঘুমের মধ্যে হোঁচট পোঁতা
শব্দে নামা ওলাওঠায়
নিজেকে সন্ধান
.
এটাও আমার কাজ
.
শরীর কি? না ব্লটিং পেপার?
তোর কাছে যার যা যা নেবার
নিচ্ছে, নিয়ে উড়ে যাচ্ছে...
জলের স্তনে পাতা বিকল হাত,
অন্ধকার সে জল দু'হাতের
দূরত্বে ফালাফালা --
আলাপ এবং ঝালায় কেঁপে
উঠছে এস্রাজ
.
এটাই আমার কাজ
২
ঠাকুমার গাল বেয়ে টানা লম্বা
অশ্রুরেখা --
পেরোতে চাই। পারছি না। ছড়ে গেল।
দেখছি,
বাবাকে কোলে নিয়ে হাঁসফাঁস দৌড়চ্ছে
বড়পিসি, আর /
অনেক দূরে মিলিয়ে যাওয়ার ঠিক আগের
মুহূর্তে
ঘাড় ঘোরাতেই কিলবিল অন্ধকার, আর
ছলাৎ ছলাৎ সেই নদী-গাছ-মাটি-খেত,
যাকে আর কোনোদিন ছুঁয়ে দেখা হবে না
জীবনে
শুধু সেই রেখার দুদিকে
জমে উঠবে থোকা থোকা আর্তনাদ, অনাথ
দূরত্ব --
গুলির আওয়াজ। দ্রুত নেমে যাবে
আরক্তকরবী।
আমাদের শ্বাস থেকে মুছে যাবে দীর্ঘ
দীর্ঘ ইতিহাস
যেভাবে গালের থেকে জেদি রক্ত মুছে
ফুটবল মাঠের টানে নেমে পড়ে নাদান বালক
No comments:
Post a Comment