পাখি : বিস্তৃত জিজ্ঞাসায়
পাখি, যতই বাড়ির গভীরে প্রবেশ করছে
তার মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বলল:
দেখে আসি আমাদের পরম্পরার ঊর্বরতা
কতদূরব্যাপী ঐশ্বর্যময় ছিল
এবং অন্তত তার বত্রিশ ঘণ্টা পর
মধ্যরাতে নদীদের জলস্তরে কান পেতে বোঝেন মা
পাখিরা কী করে আঁধার কেটে কেটে
প্রকৃত গন্তব্যে ফিরে যায়
পাখিকে শেখানো বুলি ঘরময় পায়চারি করে আর
তালপাখার বাতাসে তা ছিঁড়ে কেটে
কখনো নকশিকাঁথায় কখনো প্রতিদিনের ঘরকন্নায়
অসামান্য ফোঁড়ন রচনা করে
শুধু তার পালকের ভাষা, খাঁচাভর্তি প্রবল জিজ্ঞাসা
বুকে চেপে ঘুমাতে গেলেই সহস্রবার ঘেমে যায় চোখ
নয়া শতকের প্রসিদ্ধ হলুদের রঙ, পিতলের নাকছাবি আর
নদীতটে নোয়ানো গুল্মের মতো ঘোমটার শেষে
পাখিকে কেউ মনুষ্যত্বের চরম জিজ্ঞাসায় ফালা ফালা করে দেয়—
পাখি জেনে যায়, এমন মনুষ্যজন্ম একবার নক্ষত্রে উঠে আমৃত্যু
ভূতলে আছড়ে পড়তে পড়তে পুরুষত্বের দাঁতগুলো কেমন স্বাস্থ্যবান
হয়ে উঠত— আর, চলতে ফিরতে সুধীজন বলে বিবেচিত হতো তারা
পাখি একদিন হাঁটি হাঁটি পা পা করে তার মায়ের বুকভরা
নদীজন্মের দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিল বিস্তৃত জিজ্ঞাসার পাঠ
আজ আবার জলস্তরে ডুব দিয়ে ভাবে:
সম্ভাব্য নতুন শতকের দিকে ধেয়ে আসা বিষবাষ্প
আর কোনো ইন্দ্রিয় ভেবে ছড়িয়ে দেবে না তো প্রবল ভাষায়?
এলিনা গোমেজ : প্রতিকণা ধূলিকণ্ঠে
-----------------------
এলিনা গোমেজ, সঙ্গীতের সুর লয় কিংবা
সাঙ্গীতিক হৃদয় হরণের অনুষঙ্গগুলো
উঠোনে বিছিয়ে নিয়ে প্রতিদিন ঝালিয়ে নিত সঙ্গীতবিদ্যা
পণ্ডিত রবিশঙ্করের সেতার কিংবা আলী আকবরের সরোদমাত্র—
হৃৎবিদ্ধ হতে হতে জাকির হোসেনের তবলা— ডেকে আনতো চৌরাশিয়ার সুর
যেই না তরুণ কৌশিকী পুরোবাড়ি মগ্ন করে আনত করত
বিস্তৃত পরিবেশ, দৈবাৎ এলিনা গোমেজ
সকলের ধ্যান ফাঁকি দিয়ে হঠাৎ উধাউ হয়ে যায়
একবার তাকে ধানক্ষেতের সবুজ আলে রক্তলাল পেঁচিয়ে নিয়ে
পড়ে থাকতে দেখে কেউ, কেউ দেখে একমাত্র নায়ে সহস্র
বৈঠা হাতে পালাই পালাই করে তুলে দিয়েছে ঝড়ো বাতাসের গান
অথচ আবার ভোর হতে না হতেই বাড়ির প্রতিটি গাছের
পাতা ও কুঁড়িতে জন্ম নিত ক্ষুদে গানবাজ, যারা মাতিয়ে তুলত
স্বর্গ থেকে আসা অন্য ভোরের সুর, আর ভোর হতো আবার
তবে কি এলিনা গোমেজ আবার গন্ধর্ব কোনো
এবার স্বর্গ থেকেই পরাভূমি-লোকালয় এইভাবে সাঙ্গীতিক করে তোলে?
এবার যখন বৃক্ষ থেকে বিদ্যালয় ধুলায় মিশিয়ে দিতে
হাতে হাতে ঐশ্বরিক ইশতেহার নিয়ে লোকালয়ে তাণ্ডব জুড়ে দিল
প্রতিকণা ধূলিকণ্ঠে সাঙ্গীতিক উচ্চারিত হলো ‘এলিনা গোমেজ’
মীর আবদুল হক : পুকুরের আপ্ত কারবারী
----------------------------
পুকুর সেচে শূন্য করে, বিশুষ্ক পুকুরের হাত-পা বেঁধে
নদীতে ভাসিয়ে দেন মীর আব্দুল হক
আর অবশিষ্ট পড়ে থাকে শূন্য মাঠ, তালগাছ
এবড়োখেবড়ো ছাল ওঠা পুরনো গঞ্জের প্রধান সড়ক
জানে আবদুল হক সুকৌশলে পুকুরটাকে লুকাতে পারলে
নতুন কোনো পুকুরের প্রস্তাবনা নিয়ে নিজেকে অদৃশ্য রেখেও
জনমানুষের কত না হৃদয় ছোঁয়া যায়!
আবার পুকুর চুরির প্রতিবাদে সমবেত ঘরে ঘরে গড়ে তোলা
প্রতিরোধের সম্মুখে এসে নিজেকে সেই পুরোনো
জাতীয় স্থাবরের পক্ষে কেমন সোচ্চার ভাবা যায়—
অথচ যারা পুকুরের জলে ভূমি সেচ দেয়, গরুবাছুর স্নন করায়
সাঁতার কাটে, মাছ ধরে— তাদের সতত হৃদয়ের ভেতর প্রাচীন পুকুরের
যত হাড়মজ্জা প্রবল শেকড় কতদূর প্রথিত আছে
মীর আবদুল হক একবার ভাবতে বসে ভেসে গেছে তুমুল কলেরায়
এখন যারা জল সেচছে, মাছ ধরছে— এই পুকুরের পরমাত্মীয় তারা
শোণিতে মগজে তারা সম্বন্ধ পেতেছিল মহাসিন্ধুর প্রথম প্রপাতে—
সম্বন্ধ লুকিয়ে রাখা প্রাচীন সিন্ধুক খুলে আজকের ভূমিষ্ঠ শিশুটিও দেখে
এই এক মীর আব্দুল হক, ধান ভানতে শীবের গীত শোনায়
ধারাপাত গুনতে গুনতে নয়ে ছয়ে তুমুল প্রজ্ঞাপন রটিয়ে দেয়
কাল যে শিশুটি প্রথম জন্মাবে— সেই প্রথম তার মুখোশের বেরিয়ে
আসা সুতোয় হ্যাঁচকা টান মেরে ধুলোয় লুটিয়ে দেবে (?)
এবং নিজেদের, সকলের ব্যক্তিগত হয়ে পুকুরের শৃঙ্খল ভেঙে
স্বচ্ছ জলে ঢেলে দেবে শিংমাছের তুমুল খলবল
রূপবতী নোভা : ভালবাসা-বণিক
----------------------
ভালবাসি ভালবাসি— এই কথাটি সারাদিন উদ্যানে ছড়িয়ে রেখে
রূপবতী নোভা— সন্ধে হলে আলগোছে গুটিয়ে নেয় ঘরভর্তি ওমের ভেতর
আর্দ্র ভেজা ভালবাসা একবার রোদ্দুরে খড়খড়ে হয়ে আবার চুপসে যেতে যেতে
কাটাছেঁড়া দগ্ধ ক্ষত শরীরভর্তি হামাগুড়ি দিতে দেখে
রূপবতী নোভা ভেড়ার পালের মতো প্রতি ইঞ্চি ভালবাসার গ্রীবা
রশিতে বেঁধে গড্ডলে ভাসিয়ে নিতে থাকে—
তাদের ক্ষুধা তৃষ্ণা জরায় অপর ফসলের মাঠে হামলে পড়তে বলে
বেছে বেছে নতুন কোনো গন্তব্য চিনে নেয়; আর সন্ধে হলে
মাঠভর্তি বিরহ উজিয়ে গৃহমুখী করে ভালবাসার পাল
একবার নোভা ব্যাপক বিপুল ভালবাসা-সমেত নদীপারাপার কালে
সাঁকো ভেঙে প্রবল স্রোতে ভেঙেচুরে দিগ্বিদিক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়
জনপদ থেকে জনপদ শতচ্ছিন্ন ভালবাসায় চারদিকে ফালগুনী সঙ্গীত রচনা করে
যুদ্ধাহত উন্মুক্ত ভালবাসাগণ নোভার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার প্রশস্তি গীত গায়
পৃথিবীতে অগণ্য ভালবাসা সব— প্রকৃত হৃদয়ের খোঁজে নিমগ্ন ডাহুক
নির্মোহ প্রেমিকের খোঁজে এমনতর ভালবাসা বুড়িয়ে হারিয়েও তো যায় কেউ
কৃত্তিকা যেভাবে ভ্রমণপিয়াসী
-----------------
তোমার কন্যা কৃত্তিকা সাহাকে প্রশ্ন করেছি
সাম্প্রতিক প্রেরিত তার বাবার ইমেল পত্রে যে দুর্দান্ত ভ্রমণ প্রসঙ্গ
তাতে তার সায় আছে কিনা
সে তখন মধ্যবয়সী এক ইউক্যালিপটাসের সমর্থ আঙুলে লেখা
বন্ধুর কাগজে মুদ্রিত পারস্য ভ্রমণের দিনগুলি টেনে বের করে
আমাদের কন্যা কৃত্তিকা যে জাদুকরের প্রেমে
একটি সম্পূর্ণ বিচেনাহীন সিদ্ধান্তে জীবন কাটাবে বলে প্রতিশ্রুত আছে
আজ তার যুগান্ত রচনায়
ফেসবুক টুইটারে— তুমুল সামুদ্রিক ঝড়
চিত্রা নদীর পারের প্রেক্ষাগৃহে কত কত প্রেমের অমর কাহিনি
মুহূর্ত ফড়িঙের পাখায় হঠাৎ দিনান্তে মিলিয়ে যায়
আর আমাদের কৃত্তিকা জানে
জাদুকরের ভবিষ্য হাতযশ খেলায় আরো যা যা সঞ্চিত আছে
তাকে ঘিরেই রচিত হতে পারে শীতলক্ষ্যা পারের তুমুল অভিসার
**
পাখি, যতই বাড়ির গভীরে প্রবেশ করছে
তার মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বলল:
দেখে আসি আমাদের পরম্পরার ঊর্বরতা
কতদূরব্যাপী ঐশ্বর্যময় ছিল
এবং অন্তত তার বত্রিশ ঘণ্টা পর
মধ্যরাতে নদীদের জলস্তরে কান পেতে বোঝেন মা
পাখিরা কী করে আঁধার কেটে কেটে
প্রকৃত গন্তব্যে ফিরে যায়
পাখিকে শেখানো বুলি ঘরময় পায়চারি করে আর
তালপাখার বাতাসে তা ছিঁড়ে কেটে
কখনো নকশিকাঁথায় কখনো প্রতিদিনের ঘরকন্নায়
অসামান্য ফোঁড়ন রচনা করে
শুধু তার পালকের ভাষা, খাঁচাভর্তি প্রবল জিজ্ঞাসা
বুকে চেপে ঘুমাতে গেলেই সহস্রবার ঘেমে যায় চোখ
নয়া শতকের প্রসিদ্ধ হলুদের রঙ, পিতলের নাকছাবি আর
নদীতটে নোয়ানো গুল্মের মতো ঘোমটার শেষে
পাখিকে কেউ মনুষ্যত্বের চরম জিজ্ঞাসায় ফালা ফালা করে দেয়—
পাখি জেনে যায়, এমন মনুষ্যজন্ম একবার নক্ষত্রে উঠে আমৃত্যু
ভূতলে আছড়ে পড়তে পড়তে পুরুষত্বের দাঁতগুলো কেমন স্বাস্থ্যবান
হয়ে উঠত— আর, চলতে ফিরতে সুধীজন বলে বিবেচিত হতো তারা
পাখি একদিন হাঁটি হাঁটি পা পা করে তার মায়ের বুকভরা
নদীজন্মের দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিল বিস্তৃত জিজ্ঞাসার পাঠ
আজ আবার জলস্তরে ডুব দিয়ে ভাবে:
সম্ভাব্য নতুন শতকের দিকে ধেয়ে আসা বিষবাষ্প
আর কোনো ইন্দ্রিয় ভেবে ছড়িয়ে দেবে না তো প্রবল ভাষায়?
এলিনা গোমেজ : প্রতিকণা ধূলিকণ্ঠে
-----------------------
এলিনা গোমেজ, সঙ্গীতের সুর লয় কিংবা
সাঙ্গীতিক হৃদয় হরণের অনুষঙ্গগুলো
উঠোনে বিছিয়ে নিয়ে প্রতিদিন ঝালিয়ে নিত সঙ্গীতবিদ্যা
পণ্ডিত রবিশঙ্করের সেতার কিংবা আলী আকবরের সরোদমাত্র—
হৃৎবিদ্ধ হতে হতে জাকির হোসেনের তবলা— ডেকে আনতো চৌরাশিয়ার সুর
যেই না তরুণ কৌশিকী পুরোবাড়ি মগ্ন করে আনত করত
বিস্তৃত পরিবেশ, দৈবাৎ এলিনা গোমেজ
সকলের ধ্যান ফাঁকি দিয়ে হঠাৎ উধাউ হয়ে যায়
একবার তাকে ধানক্ষেতের সবুজ আলে রক্তলাল পেঁচিয়ে নিয়ে
পড়ে থাকতে দেখে কেউ, কেউ দেখে একমাত্র নায়ে সহস্র
বৈঠা হাতে পালাই পালাই করে তুলে দিয়েছে ঝড়ো বাতাসের গান
অথচ আবার ভোর হতে না হতেই বাড়ির প্রতিটি গাছের
পাতা ও কুঁড়িতে জন্ম নিত ক্ষুদে গানবাজ, যারা মাতিয়ে তুলত
স্বর্গ থেকে আসা অন্য ভোরের সুর, আর ভোর হতো আবার
তবে কি এলিনা গোমেজ আবার গন্ধর্ব কোনো
এবার স্বর্গ থেকেই পরাভূমি-লোকালয় এইভাবে সাঙ্গীতিক করে তোলে?
এবার যখন বৃক্ষ থেকে বিদ্যালয় ধুলায় মিশিয়ে দিতে
হাতে হাতে ঐশ্বরিক ইশতেহার নিয়ে লোকালয়ে তাণ্ডব জুড়ে দিল
প্রতিকণা ধূলিকণ্ঠে সাঙ্গীতিক উচ্চারিত হলো ‘এলিনা গোমেজ’
মীর আবদুল হক : পুকুরের আপ্ত কারবারী
----------------------------
পুকুর সেচে শূন্য করে, বিশুষ্ক পুকুরের হাত-পা বেঁধে
নদীতে ভাসিয়ে দেন মীর আব্দুল হক
আর অবশিষ্ট পড়ে থাকে শূন্য মাঠ, তালগাছ
এবড়োখেবড়ো ছাল ওঠা পুরনো গঞ্জের প্রধান সড়ক
জানে আবদুল হক সুকৌশলে পুকুরটাকে লুকাতে পারলে
নতুন কোনো পুকুরের প্রস্তাবনা নিয়ে নিজেকে অদৃশ্য রেখেও
জনমানুষের কত না হৃদয় ছোঁয়া যায়!
আবার পুকুর চুরির প্রতিবাদে সমবেত ঘরে ঘরে গড়ে তোলা
প্রতিরোধের সম্মুখে এসে নিজেকে সেই পুরোনো
জাতীয় স্থাবরের পক্ষে কেমন সোচ্চার ভাবা যায়—
অথচ যারা পুকুরের জলে ভূমি সেচ দেয়, গরুবাছুর স্নন করায়
সাঁতার কাটে, মাছ ধরে— তাদের সতত হৃদয়ের ভেতর প্রাচীন পুকুরের
যত হাড়মজ্জা প্রবল শেকড় কতদূর প্রথিত আছে
মীর আবদুল হক একবার ভাবতে বসে ভেসে গেছে তুমুল কলেরায়
এখন যারা জল সেচছে, মাছ ধরছে— এই পুকুরের পরমাত্মীয় তারা
শোণিতে মগজে তারা সম্বন্ধ পেতেছিল মহাসিন্ধুর প্রথম প্রপাতে—
সম্বন্ধ লুকিয়ে রাখা প্রাচীন সিন্ধুক খুলে আজকের ভূমিষ্ঠ শিশুটিও দেখে
এই এক মীর আব্দুল হক, ধান ভানতে শীবের গীত শোনায়
ধারাপাত গুনতে গুনতে নয়ে ছয়ে তুমুল প্রজ্ঞাপন রটিয়ে দেয়
কাল যে শিশুটি প্রথম জন্মাবে— সেই প্রথম তার মুখোশের বেরিয়ে
আসা সুতোয় হ্যাঁচকা টান মেরে ধুলোয় লুটিয়ে দেবে (?)
এবং নিজেদের, সকলের ব্যক্তিগত হয়ে পুকুরের শৃঙ্খল ভেঙে
স্বচ্ছ জলে ঢেলে দেবে শিংমাছের তুমুল খলবল
রূপবতী নোভা : ভালবাসা-বণিক
----------------------
ভালবাসি ভালবাসি— এই কথাটি সারাদিন উদ্যানে ছড়িয়ে রেখে
রূপবতী নোভা— সন্ধে হলে আলগোছে গুটিয়ে নেয় ঘরভর্তি ওমের ভেতর
আর্দ্র ভেজা ভালবাসা একবার রোদ্দুরে খড়খড়ে হয়ে আবার চুপসে যেতে যেতে
কাটাছেঁড়া দগ্ধ ক্ষত শরীরভর্তি হামাগুড়ি দিতে দেখে
রূপবতী নোভা ভেড়ার পালের মতো প্রতি ইঞ্চি ভালবাসার গ্রীবা
রশিতে বেঁধে গড্ডলে ভাসিয়ে নিতে থাকে—
তাদের ক্ষুধা তৃষ্ণা জরায় অপর ফসলের মাঠে হামলে পড়তে বলে
বেছে বেছে নতুন কোনো গন্তব্য চিনে নেয়; আর সন্ধে হলে
মাঠভর্তি বিরহ উজিয়ে গৃহমুখী করে ভালবাসার পাল
একবার নোভা ব্যাপক বিপুল ভালবাসা-সমেত নদীপারাপার কালে
সাঁকো ভেঙে প্রবল স্রোতে ভেঙেচুরে দিগ্বিদিক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়
জনপদ থেকে জনপদ শতচ্ছিন্ন ভালবাসায় চারদিকে ফালগুনী সঙ্গীত রচনা করে
যুদ্ধাহত উন্মুক্ত ভালবাসাগণ নোভার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার প্রশস্তি গীত গায়
পৃথিবীতে অগণ্য ভালবাসা সব— প্রকৃত হৃদয়ের খোঁজে নিমগ্ন ডাহুক
নির্মোহ প্রেমিকের খোঁজে এমনতর ভালবাসা বুড়িয়ে হারিয়েও তো যায় কেউ
কৃত্তিকা যেভাবে ভ্রমণপিয়াসী
-----------------
তোমার কন্যা কৃত্তিকা সাহাকে প্রশ্ন করেছি
সাম্প্রতিক প্রেরিত তার বাবার ইমেল পত্রে যে দুর্দান্ত ভ্রমণ প্রসঙ্গ
তাতে তার সায় আছে কিনা
সে তখন মধ্যবয়সী এক ইউক্যালিপটাসের সমর্থ আঙুলে লেখা
বন্ধুর কাগজে মুদ্রিত পারস্য ভ্রমণের দিনগুলি টেনে বের করে
আমাদের কন্যা কৃত্তিকা যে জাদুকরের প্রেমে
একটি সম্পূর্ণ বিচেনাহীন সিদ্ধান্তে জীবন কাটাবে বলে প্রতিশ্রুত আছে
আজ তার যুগান্ত রচনায়
ফেসবুক টুইটারে— তুমুল সামুদ্রিক ঝড়
চিত্রা নদীর পারের প্রেক্ষাগৃহে কত কত প্রেমের অমর কাহিনি
মুহূর্ত ফড়িঙের পাখায় হঠাৎ দিনান্তে মিলিয়ে যায়
আর আমাদের কৃত্তিকা জানে
জাদুকরের ভবিষ্য হাতযশ খেলায় আরো যা যা সঞ্চিত আছে
তাকে ঘিরেই রচিত হতে পারে শীতলক্ষ্যা পারের তুমুল অভিসার
**
No comments:
Post a Comment