Sunday, February 17, 2019

মনোতোষ আচার্যের গুচ্ছ কবিতা







ফুটলাইট ও ইশতেহার বিষয়ক

এক.

শ্রীমুখ দেখো দেখি ভুতুড়ে রাতভোর
তোমাকে যেন লাগে মিউজিয়াম
ছায়ার প্রাসাদের নমুনা পাথরে
শুধুই মনে পড়ে...ভ্রূ-বিদ্যুৎ
রোদেলা নিতম্ব সোহাগে ভরপুর
গোপন সংঘের ফিস ও ফাস

সামনে ধানখেত জমিন আসমান
সবুজে পদছাপ অনন্তের
জীবন মহাকাশ পাদ ও প্রদীপে
আসরে আঁধারে জ্বালাও চোখ
সহসা ডালপালা উতলা শরীরে
ফুশিয়া পটিদার ওড়না ঘোর।

দুই.

ইশতেহার ভুলে গেছে
জল জমি জঙ্গল জীবন
পাগলা হাতির পিঠে
উপমহাদেশ
দু'দণ্ড ক্ষমার কাছে
প্রেরিত হই ----শুঁকে নিই
কর্পূর চন্দন অধিবাস
ক্যাপিটাল উচ্চকোটি
অতিপ্রজ আমরা ক্রীতদাস

তিন.
ভাষার ভেতর
আস্ত এক ঘর-বাড়ি
তুমি
শীতের রোদ্দুর মেখে
বিচিত্র মুদ্রায়
গহনা বড়ির উপাখ্যান
দানা শস্য
খুঁটে নেওয়া
নরম শালিখ

চার.
তুমি তো শান্ত রতি
দাস্যভক্তি পরম্পরা
বৃথা মাত্রা অপচয়
অসহ্য জীবন নাকি
লুকোচুরি খেলা
দৃশ্যত মুখোমুখি
নিজেকেই ছিঁড়ি খুঁড়ি
ব্যবধান
লিখতে পারা না পারা

 পাঁচ.
স্পর্শদিন ভাষামুখ নরম বিশ্বাস
এসো তবে খুঁটে নিই
রং তুলি ধ্যান
জীবনে জীবন যোগ
অভ্যাসের ভ্রম
আত্মগত অভিমুখ
লগ্ন বিশ্বাস
জাগর প্রদীপ...

ছয়.
রোদ পোড়া মাটিকে জড়িয়ে
খুঁজে চলি জ্যোৎস্না ভেজা রাত
ধূসর বাড়ির জলছাদ
আগাছা গন্ধ পুষ্প----  বাস্তুদেবতা
আত্মীয় পুরোনো নয়
হে আনন্দ মনে পড়া ব্যথা
কথাদের বাসর জাগর
ঢলো ঢলো বসন্ত কুহু
পুরাতনী বোলচাল
আত্মজিজ্ঞাসা

সাত.
সহস্র কথার ডিঙি ভাসিয়ে আশ্রয়
খুঁজেছি আনমনা
শস্যবীজ
মেঘলা দুপুরের দৃশ্যময়তা
দেখো না কী ছিরি স্ত্রী ভূমিকা
শ্রীভূমি মনোময় রঙ্গ অবতার
নটনাথায় মাথায় থাক
গদ্যচরিতেরা ঘূর্ণমাচাতে
লম্ফঝম্ফ অতিনাটক
আত্মপরিচয় খুঁজেছি বহুবার
রাত তো নিশ্চুপ অন্ধকার।

আট.
কলসে নিতম্ব ঢেউ
কটিতটে মায়া--রাজপাট
যুগলে চাঁদনি কলা
মুদিত শিরালি উপবন
সন্ধ্যা নামে বাঁধ ভাঙা
গলিত সোনার দেশজুড়ে
হারানো উপত্যকা
ভ্রমমাত্র আলোছায়া পথ...
এখনো
তোমার কাছে
ফেরা আর না ফেরা সম্বল...





No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"একটা কথা আমি বলি। আমরা অনেকগুলো জিনিস খবরের কাগজে দেখি। সারফেসে দেখি, তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যাই। আমাদের আর কিন্তু প্রভাব...